এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শ্রীদেবী কাপুর তামিলনাড়ুতে ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন আইনজীবী।
তার এক বোন ও ২ সৎ ভাই আছে। ১৯৯৬ সালে তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুরকে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে জানভি এবং খুশি। হিন্দুস্তান টাইমস ও উইকিপিডিয়ার সৌজন্যে এক নজরে জেনে নিন শ্রীদেবীর অজানা ২১টি তথ্য-
০১. শ্রীদেবীর আসল নাম শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গের আয়্যাপান।
০২. শ্রীদেবী কাপুর একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী যিনি তামিল, তেলুগু, হিন্দি, মালয়ালম এবং কিছু সংখ্যক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
০৩. শ্রীদেবী হিন্দি চলচ্চিত্রে প্রথম নারী সুপারস্টার বিবেচিত হন।
০৪. ১৯৭৯ সালে সোলভা সাওয়ান চলচ্চিত্র দিয়ে শ্রীদেবীর নায়িকা হিসেবে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়।
০৫. শ্রীদেবীর জীবনে অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় দুটি ছবি ‘নাগিনা’ ও ‘চাঁদনি’। যদিও দুটি ছবিতেই প্রথমে কাজ করার কথা ছিল অন্য নায়িকার। ‘নাগিনা’তে প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিল জয়া প্রদার নাম আর ‘চাঁদনি’তে রেখার।
০৬. ১৯৮৩ সালে জিতেন্দ্রর বিপরীতে হিম্মতওয়ালা চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন। চলচ্চিত্রটি ১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় এবং সে বছরের অন্যতম সেরা ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে।
০৭. হিম্মতওয়ালা চলচ্চিত্রের “ন্যায়নোঁ মেঁ সাপনা” গানটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই চলচ্চিত্রের সাফল্যের ফলে শ্রীদেবী বলিউডে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন এবং তার বিখ্যাত “থান্ডার থাইস” উপনাম অর্জন করেন।
০৮. ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে জিতেন্দ্র ও শ্রীদেবী জুটি একত্রে ১৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে ১৩টি হিট এবং ৩টি ফ্লপ হয়। হিট চলচ্চিত্রসমূহ হল হিম্মতওয়ালা, জানি দোস্ত (১৯৮৩), জাস্টিস চৌধুরী (১৯৮৩), মাওয়ালী (১৯৮৩), আকালমন্দ (১৯৮৪), বলিদান (১৯৮৫), সুহাগন (১৯৮৬), ঘর সংসার (১৯৮৬), ধর্ম অধিকারী (১৯৮৬), অউলাদ (১৯৮৭), সোনে পে সুহাগা (১৯৮৮)। ৩টি ফ্লপ চলচ্চিত্র হল সারফারোশ (১৯৮৫), আগ অউর শোলা (১৯৮৬) ও হিম্মত অউর মেহনত (১৯৮৭)।
০৯. শ্রীদেবী রাজেশ খান্নার সাথে জুটি বেঁধেও সফল ছিলেন। এই জুটির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নয়া কদম (১৯৮৪), মকসদ (১৯৮৪), মাস্টারজি (১৯৮৫) এবং নজরানা (১৯৮৭)।
১০. ১৯৮৬ সালে শ্রীদেবীকে সর্প বিষয়ক কাল্পনিক চলচ্চিত্র নাগিনায় অভিনয় করতে দেখা যায়। এতে তিনি “ইচ্ছাধারী নাগিন” চরিত্রে অভিনয় করেন, যে সাপ থেকে নারীতে পরিণত হতে পারে। এটি ছিল সে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র এবং বক্স অফিস ইন্ডিয়া তাকে “অবিসংবাদিত এক নম্বর” বলে অভিহিত করে।
১১. দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার “শীর্ষ ১০ সর্প বিষয়ক হিন্দি চলচ্চিত্র” তালিকায় শ্রীদেবীর নাগিনা ছবিটি অন্তর্ভুক্ত হয়।
১২. শ্রীদেবীর “মেঁ তেরি দুশমন” গানের নৃত্য বলিউডের অন্যতম সেরা সর্প নৃত্য বলে উল্লেখ করে দেশি হিট্স।
১৩. ১৯৬৯ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান শ্রীদেবী। ত্রিরুমুঘামের ভক্তিমূলক তামিল ছবি ‘তুনাইভান’ তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। ১৯৭৫ সালে হিন্দি ছবি ‘জুলি’তেও তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন।
১৪. ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া শ্রীদেবীর জনপ্রিয় ছবি ‘চালবাজ’-এর ‘না জানে কাহা সে আয়ি হ্যায়’ গানটির শুটিংয়ের সময় শ্রীদেবীর গায়ে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর ছিল। জ্বর নিয়ে গানটির শুটিং শেষ করেন তিনি।
১৫. অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের কয়েকটি ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন শ্রীদেবী। ‘সাদমা’ (১৯৮৩), ‘চাঁদনি’ (১৯৮৯) ও ‘গারাজনা’ (১৯৯১) ছবির গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন।
১৬. শ্রীদেবী হলিউডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক স্টিভেন স্পিলবার্গের জনপ্রিয় ছবি ‘জুরাসিক পার্ক’-এ (১৯৯৩) অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু বলিউডের কয়েকটি ছবি নিয়ে তখন ব্যস্ত থাকায় সেই ইংরেজি ছবিতে আর অভিনয় করা হয়নি তাঁর।
১৭. মাতৃভাষা তামিল হওয়ার হিন্দি ছবি করতে গিয়ে শুরুতে হিমশিম খেতে হয় শ্রীদেবীকে। তখন তাঁর বয়স খুব বেশি না। ভালো হিন্দিও বলতে পারতেন না। শ্রীদেবীর প্রথম দিকের সব ছবিতে তাঁর চরিত্রের ডাব করতেন প্রয়াত অভিনেত্রী নাজ।
১৮. ১৯৮৬ সালের ছবি ‘আখেরি রাস্তা’তে শ্রীদেবীর হয়ে ডাব করেন নায়িকা রেখা।
১৯. হিন্দি ছবিতে শ্রীদেবীর নিজের কণ্ঠে প্রথম ডাব করেন ‘চাঁদনি’তে।
২০. বলিউড অভিনেত্রী জয়া প্রদাকে ধরা হতো শ্রীদেবীর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। দুজনের সম্পর্ক কখনোই স্বাভাবিক ছিল না।
২১. বাংলার হিরো মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আশির দশকে গভীর প্রেম ছিল শ্রীদেবীর। তাঁরা মন্দিরে গিয়ে গোপনে বিয়েও করেছিলেন বলে অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু সেই সম্পর্কের যবনিকাপাত ঘটে খুব দ্রুত।